পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি ১৫ নভেম্বর

মামলার শুনানি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির হন পরীমনি
ছবি: দীপু মালাকার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া পুলিশের অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম আজ মঙ্গলবার এ তারিখ ধার্য করেন। একই সঙ্গে আদালত পরীমনিকে জামিন দিয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল।

আদালত পরীমনিকে জামিন দিয়েছেন
ছবি: দীপু মালাকার

আজ এ মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে সকালে আদালতে হাজির হন পরীমনি। তিনি জামিন চাইলে তা মঞ্জুর করেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক। এ ছাড়া অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য ১৫ নভেম্বর তারিখ রাখেন আদালত।

১৩ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। পরে আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন।

সকালে আদালতে হাজির হন পরীমনি
ছবি: দীপু মালাকার

মামলার অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। তাঁরাও জামিনে আছেন।

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে তাঁকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।

১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি
ছবি: দীপু মালাকার

মাদকের মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।