পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু

বিজিবি-বিএসএফ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় ঢাকার পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে চার দিনব্যাপী এই সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। বিজিবির কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সম্মেলনে যোগদানের জন্য বিএসএফের মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরে এসে পৌঁছান। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

বিজিবি ও বিএসএফ-প্রধানের মধ্যে আজ থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।

বিজিবির একজন কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বছর আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার বন্ধের ব্যাপারেও আলোচনা হবে। উভয় দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও উন্নয়নের জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে।’

বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বাসসকে বলেন, ‘বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।’

বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর জানান, বৈঠকে উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

নয়াদিল্লি থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিএসএফের পক্ষ হতে আলোচনায় গবাদিপশু পাচার, মুদ্রা ও মানব পাচার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবে।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকেরা ও বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।