পোড়ার চিকিৎসা শুধুই ঢাকায়

দেশের ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় বার্ন ইউনিট খোলার উদ্যোগ ততটা সফল হয়নি।

প্রতীকী ছবি

কোথাও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ নেই। কোথাও বন্ধ রয়েছে খোদ বার্ন ইউনিটটি। সেবা বন্ধ রয়েছে ওয়ার্ডবয়ের অভাবে। চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। আবার কোথাও সংকট যন্ত্রপাতির।

এই হলো মোটা দাগে সারা দেশে আগুনে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিংবা অ্যাসিডে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার চিত্র।

২০১০ সালে রাজধানীর নিমতলী দুর্ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যুর পর দেশের ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় বার্ন ইউনিট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে ১০টি হাসপাতালের চিত্র বলছে, সে উদ্যোগ ততটা সফল হয়নি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই কেবল পোড়া রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সম্প্রতি বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার পর দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় দগ্ধ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন এখনো রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পোড়ার ঝুঁকি সবখানে থাকলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক।

সারা দেশের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক সামন্তলাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। ১৪টি জেলায় কাজও শুরু হয়েছিল। তবে সব জায়গায় কাজ সমানভাবে হয়নি।

এ বিষয়ে মঙ্গলবারও সামন্তলাল সেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করেন। আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। করোনার কারণে অন্য কিছু কাজের সঙ্গে বার্ন ইউনিটের কাজও থেমে ছিল। এখনো পুরোদমে চলবে। তিনি বলেন, আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালু করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ইউনিট করা হবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৬৪ হাজার ৮৯৩ জন। আর হাসপাতালে ভর্তি হন ৮ হাজার ৯৩৪ জন।

মাঠের চিত্র হতাশাজনক

৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটনার সাত দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর একটি ইস্পাত কারখানায় দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হন। আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আহতদের দুজন সেখানে মারা যান।

গত মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল শহরের কর ভবনে আগুন লাগে। এখানকার ডরমিটরিতে থাকতেন অতিরিক্ত কর কমিশনার শাওন চৌধুরী। শাওন চৌধুরীকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় ওইদিন বিকেলে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, ‘শাওন চৌধুরীর শরীরে অক্সিজেন পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।’

২০১৫ সালের ১২ মার্চ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় ৮ শয্যা নিয়ে বার্ন ইউনিটটি চালু হয়। এরপর ওই ওয়ার্ডকে ১০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও রোগীদের চাপ সামাল দিতে ৩০ থেকে ৩২টি শয্যা সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ। এই বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিতে ৮ চিকিৎসক এবং ১৬ নার্স ও ব্রাদারের পদ রাখা হয়।

শুরু থেকেই ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান এম এ আজাদ। এরপর সেখানে সহযোগী অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেনকেও পদায়ন করা হয়। গত এপ্রিলে বিভাগের প্রধান এম এ আজাদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বিভাগটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর মার্চ থেকে চিকিৎসাজনিত ছুটিতে যান শাখাওয়াত হোসেন। তিনি এখনো ছুটিতে রয়েছেন। ফলে এপ্রিলের পর ওই বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, এখন কোনো রোগী এলে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আবার গুরুতর হলে ঢাকায় পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০৮ সালে ১৩ শয্যার বার্ন ইউনিট করা হয়। এরপর ২০১২ সালে করা হয় ২৬ শয্যার বিভাগ। একটি করে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক এবং দুটি রেজিস্ট্রার ও তিনটি সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে কেবল একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারের পাঁচটি পদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন। কোনো মেডিকেল অফিসার নেই। নার্স আছেন মাত্র ১৩ জন।

বিভাগটিতে রোগী থাকে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি। গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভাগটিতে ঢোকার মুখেও অতিরিক্ত শয্যা দেওয়া হয়েছে। ওই দিন রোগী ছিলেন ৪৮ জন। শ্বাসনালি দগ্ধ রোগীদের জন্য আইসিইউ দরকার হলেও তা এই বিভাগে নেই।

বিভাগের প্রধান মো. রফিক উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য আইসিইউ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। রোগীর স্বজনেরা সামর্থ্য থাকলে ঢাকায় নিয়ে যান।

খুলনার দুটি হাসপাতালে হয় দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট চালু হয় ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এখন শয্যা ৩৬টি। ইউনিটটিতে চিকিৎসকদের পাঁচটি পদ রয়েছে, কাজ করেন একজন। এখানে কোনো আইসিইউ নেই।

ইউনিটের প্রধান তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমি একাই পুরো ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছি। আমি রাউন্ড দিই, আমিই অর্ডার লিখি। এসব না হয় করা যায়, তবে একা অপারেশন তো করা যায় না। ওখানেই আটকে যাচ্ছি। ইন্টার্নদের সহায়তায় কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। তবে সেই সহায়তা সব সময় মেলে না।’

অন্যদিকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ২০ শয্যা নিয়ে বার্ন ইউনিট চালু হয় ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ইউনিটের জন্য আলাদা আইসিইউ নেই।

ইউনিটপ্রধান শেখ নিশাত আবদুল্লাহ বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ছয়জন ওয়ার্ডবয় নিয়োগ না দিলে এ ইউনিটে সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়া অসম্ভব। সূত্র বলছে, ২০ শয্যার বেশির ভাগই খালি থাকে।

বলতে গেলে আমি একাই হাসপাতালে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক আমাকে সহায়তা করছেন। ৩০ শতাংশের বেশি পোড়া হলে ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য বলি
মো. আবদুল মান্নান, সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয় ২০১১ সালে। ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বলতে গেলে আমি একাই হাসপাতালে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক আমাকে সহায়তা করছেন। ৩০ শতাংশের বেশি পোড়া হলে ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য বলি।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৫ সালে বার্ন ইউনিট এবং ২০১৭ সালে বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। রোগীদের জন্য ৩২ শয্যা রয়েছে। চিকিৎসক আছেন পাঁচজন। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কিংবা এর বেশি দগ্ধ রোগীদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ২০১৩ সালের জুলাইয়ে চালু হয়। সব মিলিয়ে ৩৫ শয্যা। বার্ন ইউনিটটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সঙ্গে লাগোয়া মূল ভবনে। চিকিৎসকের ৯টি পদের ৬টি ও নার্সের ২০টি পদের ৮টি খালি। ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক এম এ হামিদ বলেন, চিকিৎসক-সংকটের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও নেই। বর্তমান ইউনিটে কোনো রোগী নেই।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু হয় ২০১৪ সালের জুলাইয়ে। চিকিৎসকদের ৯টি পদে ৩ জন ও নার্সদের ২৪টি পদে ৬ জন কাজ করছেন। বিভাগীয় প্রধান আফরোজা নাজনীন বলেন, করোনার কারণে বার্ন ইউনিটের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৃথক কোনো বার্ন ইউনিট নেই। ২০১৪ সালে হাসপাতালের নিচতলায় একটি কক্ষে ২০ শয্যার বার্ন ইউনিট চালু করা হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি নেই। এখানকার রোগীদের পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয় ২০১২ সালের নভেম্বরে। ১২টি শয্যার ইউনিটে নিয়মিতভাবে রোগী থাকে শয্যা সংখ্যার বেশি। বার্ন ইউনিটে অধ্যাপকের একটি পদের মধ্যে একটি, সহযোগী অধ্যাপকের দুটি পদের মধ্যে দুটি ও সহকারী অধ্যাপকের তিনটি পদের মধ্যে একটি শূন্য।

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, বার্ন ইউনিট স্থাপনের জন্য জানুয়ারিতে নবনির্মিত ভবন বুঝে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল, অস্ত্রোপচার কক্ষসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীর পদ সৃষ্টি করা হয়নি। কোনো যন্ত্রপাতিও বরাদ্দ মেলেনি।

বর্তমানে বগুড়া ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে আসা আগুনে পোড়া ও অ্যাসিডে ঝলসানো রোগীর চিকিৎসা চলছে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে। এখানে আলাদাভাবে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট না থাকায় বেশি খারাপ রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

সংকট রয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও

পোড়ার চিকিৎসায় রোগী ও স্বজনেরা তাকিয়ে থাকেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দিকে। কিন্তু ৫০০ শয্যার এই প্রতিষ্ঠান চলছে জনবলসংকটের মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আঞ্চলিক মানদণ্ড অনুযায়ী এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে কমপক্ষে ৪ হাজার ৪০টি বিভিন্ন ধরনের পদ থাকা দরকার। সরকার অর্ধেকের কম পদের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত সব পদে আবার লোক নেই।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জনবলের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১ হাজার ১২২। আর কাজ করছেন ৪৬৪ জন। অর্থাৎ ৫৯ শতাংশ পদ শূন্য।

জনসচেতনতা জরুরি

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি জনসচেতনতা বেশি জরুরি। বড় বড় হাসপাতাল গড়ে তুলে লাভ হবে না, যদি দগ্ধ হওয়া বন্ধ করা না যায়। সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ বলেন, প্রথম আলো ও অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন অ্যাসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতায় কাজ করেছিল। ২০১০ সালে অ্যাসিডে দগ্ধ ৩০০ থেকে ৩৫০ জন চিকিৎসা নিতেন। ২০১৯ সালে তা ছিল ২০ থেকে ২৩ জন। সমাজ সচেতন হওয়ার কারণে অ্যাসিড-সন্ত্রাস কমেছে।

এখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত গরম পানি, গরম খাবার বা গায়ে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। এসব ঘটনার শিকার বেশি হয় নারী ও শিশুরা। অন্যদিকে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ বেশি দগ্ধ হয়। প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সিলিন্ডার বা এসি বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিস্ফোরণের ঘটনাও বাড়ছে।

সামন্তলাল সেন বলেন, এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আইনেরও যথাযথ প্রয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। তা হলে দুর্ঘটনা কমবে। মানুষ হাসপাতালে কম আসবে।

[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, রাজশাহী, দিনাজপুর, কুমিল্লাবগুড়া]