প্রকাশিত হলো ইলেকট্রনিক বই 'একুশ ই-বুক'

বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় রচিত বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোকে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে নিয়ে আসার প্রয়াসে প্রকাশিত হলো ‘একুশ ই-বুক’।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে একুশ ই-বুকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রার সহযোগিতায় মুঠোফোন কোম্পানি ওকে মোবাইল এটি বাজারে এনেছে।
এটি মূলত ওকে মোবাইলের একুশে ট্যাবের একটি অ্যাপ। প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপে জনপ্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন, শিশুসাহিত্যিক ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং অভিনেতা আফজাল হোসেনের ৩০টি বই সংযুক্ত হয়েছে। বইগুলো পড়তে হলে পাঠককে একুশে ট্যাব কিনেই পড়তে হবে। ট্যাবটির দাম রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৯৯০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে একুশ ই-বুকে ১০ লাখ বই সংযুক্ত হবে। পাঠক এই অ্যাপটির মাধ্যমে অনলাইনে বই কিনতে পারবেন। আবার একুশ ই-বুক গ্রন্থাগারের সদস্য হয়েও পছন্দের বইগুলো পড়তে পারবেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর একুশ ই-বুক প্রকাশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘ছাপার অক্ষরের বইয়ের বাইরে ই-বুকের একটা বাড়তি আকর্ষণ আছে। কিন্তু আমরা এখন ছেলেমেয়েদের বই পড়তে উৎসাহ দেই না। আমাদের দেশে এখন শিক্ষার্থীর থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।’
তাই দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠে আগ্রহী করে তোলার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মধ্য দিয়ে যে ডিজিটাল সমাজ তৈরি হচ্ছে, তাতে ই-বুক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আশা করব একুশ ই-বুক সচেতন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সহায়ক হবে।’
তথ্যপ্রযুক্তির অতি দ্রুত বিকাশ এবং এর ফলে পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে একুশ ই-বুক প্রকাশের এই উদ্যোগকে নতুন একটি সম্ভাবনা হিসেবে অভিহিত করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
ওকে মোবাইলের কর্ণধার কাজী জসিমুল ইসলাম বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ও ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবসে একসঙ্গে বিশ্বের ৩৮টি দেশে একুশ ই-বুক উন্মুক্ত করা হবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মাত্রার ম্যানেজিং পার্টনার সানাউল আরেফিন, ফরিদুর রেজা সাগর ও আফজাল হোসেন।
সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে একুশ ই-বুক অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।