প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ, কাউন্সিলরের অস্বীকার

রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আনোয়ার হোসেন। তাঁর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি মাসুম মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের সময় আনোয়ার হোসেনের পাশে তাঁর স্ত্রী ও মা উপস্থিত ছিলেন।

আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে ছিলেন যুবলীগের স্থানীয় নেতা।

আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, গত ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিজ মালিকানাধীন স্বদেশ ফার্নিচার মার্ট নামের প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা ও তাঁর লোকজন হামলা চালান। এ সময় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মালামাল লুট করা হয়। ১০ দিনের মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জায়গা খালি করে না দিলে তাঁকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের ১৫৯/৩ ও ১৫৯/৩/১ নম্বর হোল্ডিংয়ে পূর্বপুরুষের ও ক্রয়কৃত ৭৯১ অজুতাংশ জমির খাজনা–কর, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ইত্যাদি তিনি নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। এত দিন তিনি নির্বিঘ্নে ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ২৭ জানুয়ারি তাঁকে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি দক্ষিণ সিটির মেয়রকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অবশ্য, এই জায়গা নিয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের একটি মামলা চলছে বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, অনেকেই বলাবলি করছে, এই সম্পত্তি দক্ষিণ সিটির। তাই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপর আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

আনোয়ার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন শেষে কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে প্রথম আলো। আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব মিথ্যা অভিযোগ। আমি কেন মানুষের পৈতৃক বাড়ি দখল করতে যাব? অন্য কেউ হামলা চালালে তার দায় আমার ওপর দিলে তো হবে না।’

জায়গাটির মালিকানা প্রসঙ্গে মাসুম মোল্লা বলেন, জমির মালিক সিটি করপোরেশন বলে তিনিসহ স্থানীয় লোকজন জানেন। আনোয়ার হোসেন যে জমির মালিক, তা মুখে বললে তো হবে না। কাগজপত্র দেখাতে হবে।