প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

আবরার ফাহাদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি হলেন চকবাজার থানার পরিদর্শক কবির হোসেন হাওলাদার। এই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলায় ৪৫ জন সাক্ষ্য দিলেন। কাল বুধবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন হাওলাদার আদালতকে বলেন, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ শেরেবাংলা হলে নিহত হন। মামলার তদন্তভার পেয়ে তিনি ৭ অক্টোবর সকালে ঘটনাস্থলে যান।

মামলার এজাহার, সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টের কক্ষ থেকে দুটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর) জব্দ করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্র অনিক সরকারসহ ১০ জনকে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেন। আর ইউটিউবসহ গণমাধ্যমে প্রচারিত সিসিটিভির ফুটেজ থেকে ২৪টি ছবি শনাক্ত করেন। ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর মামলার কেস ডকেট ডিবির কাছে হস্তান্তর করেন।

সাক্ষ্য প্রদান শেষে চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন হাওলাদারকে পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ আসামি পলাতক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে পরস্পরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস সোবহান তরফদার, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে আছেন মাহাবুব আহমেদ, আমিনুল গণী, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।