প্রবীণদের মর্যাদা ও যত্নে সমন্বিত পদক্ষেপের তাগিদ

ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা।
সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তিদের মর্যাদা ও যত্নের জন্য সরকারি-বেসরকারি সব পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিক ও বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব আলঝেইমার’স মাস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তাঁরা প্রবীণদের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয় এবং ‘মেন্টাল ক্যাপাসিটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যের কেন্ট ব্রেইন ইনজুরি কেয়ার অ্যান্ড গ্লোবাল কোলাবোরেশনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন ও স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গত রোববার এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল, মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাস, মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমান, আইনজীবী আলেয়া আক্তার, মো. হাসান আলী, চিকিৎসক এস চক্রবর্তী, শাহাদাৎ হোসেন ও জাওয়াদ মাহমুদ ওয়াফী।
এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যের ইস্ট কেন্ট হসপিটালস ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের নিউরোরিহ্যাবিলিটেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাকেল। তিনি মূল প্রবন্ধে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের প্রবীণদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, গবেষণা ও কল্যাণে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি দেশের প্রবীণদের কল্যাণে ‘মেন্টাল ক্যাপাসিটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন।

আকবর আলি খান বলেন, প্রবীণদের নিয়ে একটা আলাদা মন্ত্রণালয় জরুরি। প্রবীণদের সেবায় পরিবার, কেয়ারগিভার, চিকিৎসা পেশাজীবী ও সমাজকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি প্রবীণদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান।

অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, প্রবীণদের উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বহুমাত্রিক উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রবীণদের আলাদা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রবীণদের জন্য ‘মেন্টাল ক্যাপাসিটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেন। মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাস আলঝেইমার’স রোগে যত্ন ও পারিবারিক সমর্থনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিমেনশিয়াকে (স্মৃতিভ্রম) জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। মেজর জেনারেল (অব.) ফসিউর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেভাবেই প্রবীণদের যত্নে চিকিৎসক, পেশাজীবী, সেবিকাসহ সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।

ওয়েবিনারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্রের পক্ষে কে এম এমরান হোসেন ও কেন্ট ব্রেইন ইনজুরি ফোরামের পক্ষে আইএম মোসতাজির বিল্লাহ অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।