ফুলবাড়িয়ায় ষষ্ঠ দিনের মতো দোকান উচ্ছেদে অভিযান চলছে
নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে ষষ্ঠ দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেন (ডিএসসিসি)। রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে এই মার্কেটে দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, এই মার্কেটে মোট ৯১১টি নকশা বহির্ভূত দোকান রয়েছে। অভিযান চালিয়ে গতকাল পর্যন্ত ৬ শতাধিক দোকান ভাঙা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবারের অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির। বেলা দুইটার দিকে দেখা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি এক্সকাভেটর দিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙা হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর মার্কেটের অবৈধ স্থাপনাগুলো ডিএসসিসির যন্ত্র দিয়ে ভাঙা যাচ্ছিল না। পরে বিআইডব্লিউটিএর এক্সকাভেটর যুক্ত করা হয়। অভিযানে পুলিশের ৬০ জন সদস্য মোতায়েন আছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ দুপুরে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। নকশাবহির্ভূত দোকানগুলো অপসারণে অনেক সময় লাগতে পারে।
৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়ায় ডিএসসিসি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। তখন হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
সেদিন বেলা ১১টার দিকে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার সময় দোকানিরা রাস্তায় অবস্থান নেন।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বিপণিবিতানের নকশাবহির্ভূত দোকান এবং এর সার্বিক পরিস্থিতি জানতে একটি কমিটি গঠন করে দেন। করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি বিপণিবিতানে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে এবং সেগুলো উচ্ছেদের সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশে মেয়র সম্মতি দিয়ে নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদের নির্দেশনা দেন। এরপর ৮ ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে নকশাবহির্ভূত সব দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসসিসি।