ফেনসিডিল বেচতেন দুই পুলিশ কনস্টেবল

প্রতীকী ছবি

দুই পুলিশ সদস্য অনেক দিন ধরে ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিলেন। মতিঝিল থানার পুলিশ ওই তথ্য জানতে পারে। এর ভিত্তিতে মতিঝিল থানার পুলিশ গতকাল বুধবার রাতভর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার চারজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম) কনস্টেবল শুয়েয খান (২৪) ও আসাদুজ্জামান (২৭) এবং তাঁদের সহযোগী লিজা বেগম (২২) ও শিবলি আহমেদ খান (২৮)।

পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার এনামুল হক মিঠু প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত আটটার পর গোপন খবরের ভিত্তিতে মতিঝিল থানার পুলিশ ফকিরাপুলে অভিযান চালিয়ে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশ কনস্টেবল শুয়েয খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে আরেক পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানকে (২৭) ও তাঁর সহযোগী লিজা বেগমকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আজ ভোর পাঁচটার দিকে ডেমরায় অভিযান চালিয়ে শিবলি আহমেদকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল, ১টি রিভলবারসহ গ্রেপ্তার করে। এসব ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি, খিলগাঁওয়ে একই আইনে আরেকটি এবং ডেমরা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়।

মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওছার আহমেদ বলেন, গতকাল মাদকদ্রব্য আইনের একটি মামলায় চারজনকে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এসআই কাওছার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনায় জড়িত। এই চক্রে আর কারা জড়িত আছে, তাদের কাছ থেকে রিমান্ডে জানার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।