বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের অনুমতি পেল না মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

মুজিব বর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলায় তারা ভাস্কর্যটি স্থাপন করতে পারেনি৷

আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে তাঁদের উদ্যোগে ‘অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ নামের একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে। এটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর রাশা ও উত্তম ঘোষ। গানমেটালে তৈরি আড়াই ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটি বসানো হবে পাঁচ ফুট ভিত্তির ওপর।

সংবাদ সম্মেলনের পরই গ্রন্থাগারের সামনে দুজন শ্রমিককে দিয়ে ভাস্কর্যের ভিত্তি নির্মাণের কাজ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নির্মিত ভাস্কর্যটি পাশেই রাখা ছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। প্রক্টর এ ভাস্কর্য স্থাপনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকার বিষয়টি মঞ্চের নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দেন। পরে উপাচার্যসহ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ক্যাম্পাসে ভাস্কর্যটি স্থাপন স্থগিত করেন মঞ্চের নেতারা।

মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে, কোথাও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হলে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি লাগে, যেটি আমাদের নেই। আমরা প্রাথমিকভাবে গ্রন্থাগারের সামনে ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেছি। কোথায় ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে, তা পরে জানানো হবে।’

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘মুজিব বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি। অনেকবার কথা দিলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমরা অনুমতি ছাড়াই ভাস্কর্য স্থাপন করতে চেয়েছিলাম।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাদের আবেগ ও চিন্তাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু জাতির জনকের ভাস্কর্য হবে সবচেয়ে নান্দনিক, তার জন্য স্থান নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি আমরা তাঁদের বুঝিয়ে বলেছি।’