বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে সরকারি উদ্যোগের দাবিতে একাই দাঁড়িয়ে তিনি

বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে সরকারি উদ্যোগের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে আছেন মোখলেছুর রহমান।
ছবি: তানভীর আহম্মেদ

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে জনসচেতনতা ও সরকারি উদ্যোগের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে একাই দাঁড়িয়েছিলেন মোখলেছুর রহমান। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, গলা ও দুই হাতে বজ্রপাতের সতর্কতামূলক বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান তিনি।

মোখলেছুর রহমানের দাবি, প্রতিবছর অনেক মানুষ বজ্রপাতে মারা যায়। এ বছর আরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির শিকার হন কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। তাঁদের রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বের হতে হয়। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। এমনকি সতর্কতামূলক যেই প্রচার চালানো হয়, তা-ও তাঁদের কাছে পৌঁছায় কি না সন্দেহ।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোখলেছুর রহমান এসব কথা বলেন।

মোখলেছুরের হাতের প্লাকার্ডে লেখা ছিল, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে’, ‘মানুষ বাঁচানোর পদক্ষেপ গতিহীন কেন?’ ‘বজ্রপাত প্রতিরোধে সারা দেশে উন্নত প্রযুক্তির বজ্রনিরোধক যন্ত্র বসানো হোক’, ‘বজ্রপাত দুর্যোগ থেকে কৃষক বাঁচাও, জেলে বাঁচাও’ ‘বজ্রপাতে প্রাণহানি রোধে চাই জনসচেতনতা, চাই সরকারি-বেসরকারি দ্রুত উদ্যোগ’, ‘বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা চাই’।

মোখলেছুর রহমান আরও জানান, ২০১৩ সাল থেকে নিজের বিবেকের তাড়নায় এককভাবে দেশের মানুষের বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে প্রতিবাদ ও সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছেন। এর আগে ৫০টির মতো জনসচেতনতামূলক বিষয়ে তিনি একাই দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ, ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধ, নকল ওষুধ উৎপাদন রোধ, সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধ, মানব পাচার রোধ, চিকিৎসকদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট না দেওয়া প্রভৃতি বিষয় রয়েছে।