বরখাস্ত মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে

মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির (বাঁ থেকে)
ফাইল ছবি

দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই তারিখ ঠিক করেন। আদালত সূত্র বলছে, এই মামলার সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানি পিছিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার কারাগার থেকে মামলার ওই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই মামলার মোট সাক্ষীর সংখ্যা ১৭। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১৮ মার্চ খন্দকার এনামুল বাছির ও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঘুষ লেনদেনের মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ১৯ আগস্ট এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আদালতে সেদিন বলেছিলেন, খন্দকার এনামুল বাছির দুদকের কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার জন্য ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।

অপর দিকে ডিআইজি মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনামুল বাছিরকে। অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৯ সালের ৯ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান—এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আসামি ডিআইজি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি জাতির সামনে স্বীকার করে নেন।

ডিআইজি মিজান তখন জানান, এনামুল বাছিরকে তিনি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। বিষয়টি দুদকের নোটিশে এলে শক্তিশালী একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির কাছে লিখিতভাবে খন্দকার এনামুল বাছির ঘুষের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন