বর্ষা মৌসুমের আগেই দখল হওয়া সব খালের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে: মন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
ছবি : প্রথম আলো

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই দখল হওয়া সব খালের জায়গা পুনরুদ্ধার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যে বা যারাই জলাধারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করুক না কেন, তা উচ্ছেদ করে জলাধার নির্মাণ করা হবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়া খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় দেওয়া কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি এবং কল্যাণপুর পাম্পহাউস ও জলাধারের জন্য অধিগ্রহণ করা জায়গা পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জলাধারের জন্য নির্ধারিত জায়গা অবৈধভাবে দখল হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রীকে জানান। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে বা যারাই জলাধারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করুক না কেন, তা উচ্ছেদ করে জলাধার নির্মাণ করা হবে। উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, জলাধারের ১৭৩ একর জায়গায় অনেকেই অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এসব অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করে পানিনিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরবাসীর শাস্তির জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দখলের কারণে খালের দুই পাড় সংকুচিত হয়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খালের দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে সীমানা পিলার স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে কল্যাণপুর পাম্পহাউসের গুরুত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ‘কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন অ্যান্ড রেগুলেটিং পন্ড, দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের স্থগিত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবগত করলে মন্ত্রী প্রকল্পটি আবার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাধারের জায়গা যে বা যাঁরাই দখল করে আছেন, নিজে থেকে সরে যান। কারণ, আমি অবৈধ দখলদারদের জন্য কোনো বৈধ নোটিশ দেব না।’ শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জলাধার দখলমুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।

এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।