বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দুই দিনব্যাপী প্রতিরক্ষা সংলাপ ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে
ছবি: আইএসপিআর

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দুই দিনব্যাপী প্রতিরক্ষা সংলাপ ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা ছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সংলাপ। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। গতকাল বুধবার থেকে থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ মসিহুর রহমানের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল প্রতিরক্ষা সংলাপে অংশগ্রহণ করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহাবুবুর রশিদ অতিথি হিসেবে এ সংলাপে অংশ নেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রধান মিজ ট্রিশ উইলসনের নেতৃত্বে ওই দেশের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রতিরক্ষা সংলাপে অংশ নেয়। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যার্টারসন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা উষ্ণ ও নিবিড়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতিবছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। দুই দেশের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সামরিক সফর বিনিময় সামরিক সহযোগিতার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি দুই দেশের মধ্যে প্রথম সামরিক সংলাপ, যা একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি বৈশ্বিক¡ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মোতায়েন, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি ত্বরান্বিত করবে।