বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেলেন শফিকুল

শফিকুল ইসলাম কাজল
ফাইল ছবি

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছিল আজ সোমবার সকালে। ঘণ্টা দুয়েক পর আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ ও শফিকুলের পরিবার প্রথম আলোকে এ খবর জানিয়েছেন।

কারা চিকিৎসক মো. খুরশীদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ফটোসাংবাদিক শফিকুলের সুচিকিৎসার ব্যাপারে আদালতের একটি আদেশ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিএসএমএমইউতে পাঠানো হয়। এর আগে তিনি দু–একবার কারাহাসপাতালে এসেছেন। তাঁর শারীরিক দুর্বলতা ছিল, তিনি বিষণ্নতায় ভুগছেন বলেও মনে হয়েছে। খাওয়াদাওয়া করছেন না ঠিকমতো।

চিকিৎসক আরও বলেন, বিএসএমএমইউ শফিকুলকে এক মাসের ওষুধ দিয়েছে। ওষুধগুলো শেষ হলে তাঁর কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার কথা। তাঁকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত বিষণ্নতা কাটানোর ওষুধ।

জানা গেছে, বিএসএমএমইউতে তিনি বিষণ্নতা, নিদ্রাহীনতা, হুট করে রেগে ওঠা, খাবারের রুচি চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

শফিকুলের ছেলে মনোরম পলক জানান, তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে শুনেই তিনি  তাঁর মা জুলিয়া ফেরদৌসী ও ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া বোন মনিহার ইসলামকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ কাছেই ভিড়তে দেয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।

মনোরম পলক বলেন, ‘বাবাকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। দুপাশ থেকে দুজন তাঁকে ধরাধরি করে নামিয়ে আনেন। কোনো রকমে একটু দেখতে পেয়েছি, কথা বলতে পারিনি।
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল গত ১০ মার্চ হাতিরপুলের অফিস থেকে বের হওয়ার পর অপহরণের শিকার হন। বেনাপোল সীমান্তের কাছ থেকে ২ মে তাঁকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে ২২ জুন পর্যন্ত যশোর কারাগারে ছিলেন। কেরানীগঞ্জে আসার পর দু–একবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান তাঁর ছেলে মনোরম।

পরিবার বলছে, ৫৩ দিন চোখ বাঁধা থাকায় তাঁর দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়েছে মারাত্মক। শফিকুল বাঁ হাত নাড়াতে পারেন না। বমির সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে।

যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া গ্রেপ্তারের পর ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর ছবি প্রকাশ করেন শফিকুল। এরপরই প্রথমে সাংসদ সাইফুজ্জমান শিখর ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এরপর কামরাঙ্গীর চর ও  হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আলাদাভাবে আরও দুটি মামলা করেন একই আইনে।