বিধিনিষেধেও ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তায় যানজট

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে।
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে, এমন ধারণা থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আজ সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকেই রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে এই যানজট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি।

মো. আপন আলী নামের এক রিকশাচালক প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় যানজটের কারণে বসুন্ধরা শপিং মলের পেছন থেকে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পর্যন্ত আসতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। অন্য সময় এর অর্ধেকের কম সময় লাগে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক জানান, মানুষ বিধিনিষেধ শিথিল করবে শুনছে, এর জন্য প্রায় গাড়িই আজ রাস্তায়। খালি বাস আর অটোরিকশা নেই।

কারওয়ান বাজারে দায়িত্বরত সার্জেন্ট রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যানজটের কারণ হলো লোকজন নাকি শুনেছে সামনে লকডাউন শিথিল হবে। এই উল্লাসে তাঁরা বাইরে বের হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। দেখেন, সবাই নেমে গেছে। এখন এত গাড়ির বিরুদ্ধে কি কড়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব?’

বিধিনিষেধের আজ ১২তম দিন। দিন যতই যাচ্ছে সড়কে মানুষ ও ব্যক্তিগত গাড়ির আনাগোনা বাড়ছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের উত্তরা এলাকা থেকে।
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। আর চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত আছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও এরপর বিধিনিষেধ বাড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আজ কিংবা কালকের মধ্যে আসার কথা রয়েছে।

এদিকে রাস্তায় গাড়ি-মানুষের চাপ বাড়ায় রিকশার ভাড়াও বেড়ে গেছে, যা পরিশোধ করতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বেলা ১১টার পর মিরপুরের কাজীপাড়া মোড়ে রিকশাচালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দর–কষাকষি করছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি মৎস্য ভবন এলাকায় যাবেন। তিনি বলেন, ‘রিকশাচালকেরা ভাড়া চাচ্ছেন আড়াই শ টাকা, আর মোটরসাইকেল চাচ্ছে সাড়ে তিন শ টাকা। অন্যান্য দিন ফার্মগেট পর্যন্ত ১০০ টাকায় যাই, তারপরটুকু ৭০-৮০ টাকায় যাই। আজ তা–ও পাচ্ছি না। বেসরকারি চাকরিজীবীরা মহাবিপদে আছেন।’

রিকশার ভাড়া মেটাতে হিমশিম খেয়ে অনেকেই এক রিকশায় দুজন করে উঠছেন। যা ভাড়া আসছে, তা ভাগাভাগি করে দিচ্ছেন।