বিড়ির দাম কমিয়ে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি

গত অর্থবছরে বিড়ির ওপর বৃদ্ধি করা ৪ টাকা মূল্যস্তরের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। এ ছাড়া নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তরের দাবিও করেছে তারা। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী। তিনি বলেন, এ বছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর নতুন করে কোনো করারোপ না হলেও দাবি মানা হয়নি।

নিম্নস্তরের সিগারেটকে বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী উল্লেখ করে এম কে বাঙ্গালী বলেন, বাজারে বিক্রি হওয়া সিগারেটের ৭২ শতাংশ নিম্নস্তরের। কিন্তু সেখানে কোনো শুল্কারোপ করা হয়নি। গত অর্থবছরে বিড়ির ওপর ৪ টাকা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের ওপর ২ টাকা মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। এতে বিড়ি শিল্প ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের অভিযোগ, প্রতিবছর বাজেটে বিদেশি সিগারেটের ক্ষেত্রে আনুকূল্য দেখানো হয়। সরকার ধূমপান কমিয়ে আনতে তামাকজাত পণ্যের ওপর করারোপ করে। কিন্তু বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নিম্নস্তরের সিগারেট কোম্পানিকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিগুলো হচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর কমাতে হবে, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, নকল বিড়ি বন্ধে রাজস্ব বোর্ডের কঠোর ভূমিকা রাখা এবং বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত রাখা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর প্রমুখ।