বৃষ্টি ভিজতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় মামার বাসায় বেড়াতে এসেছিল ১০ বছরের সজল ইসলাম ওরফে আলিফ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি দেখে ছাদে ভিজতে যায় সে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় ছাদে গিয়ে দেখা যায় সে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পরে তার মৃত্যু হয়।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সজলদের বাড়ি ময়মনসিংহের কুড়েপাড়ায়। তার বাবা সাইফুল ইসলাম পেশায় কৃষক। ১৫ দিন আগে সজল তার মা-বাবার সঙ্গে মামা ইয়াসিন হোসেনের তেজকুনিপাড়ার বাসায় বেড়াতে আসে। সজল ময়মনসিংহের কুড়েপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইয়াসিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে সজল তাঁদের ভাড়া বাসার দোতলার ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে যায়। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় তিনি ছাদে যান। এ সময় সজল ছাদে নিথর হয়ে পড়ে ছিল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ফার্মগেটের আল রাজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, স্বজনেরা বেলা সোয়া তিনটার দিকে সজলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইয়াসিন হোসেনের ধারণা, ছাদে লোহার রড টানা ছিল। হয়তো বৃষ্টিতে কোনো বিদ্যুতের তার রডের ওপর এসে পড়েছিল, এতে রডটি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। সেই রড ধরতে গিয়ে সজল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন মিয়া আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনেরা দাফনের জন্য নিয়ে গেছেন।