বেতনের দাবিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন

‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির’ ব্যানারে বেতনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন। ঢাকা, ২০ অক্টোবর
ছবি: আহমেদ দীপ্ত

রাজধানীতে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির’ ব্যানারে বেতনের দাবিতে  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন হয়েছে। তাঁরা বলছেন, প্রায় ১১ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ফাউন্ডেশনের ৩৫৯ জন রাজস্ব ও দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়াদের দাবি, তাঁরা কেউ দৈনিক ভিত্তিতে কেউ রাজস্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শাখায় কাজ করছেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে তাঁদের ৩৫৯ জনের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। তাঁরা জানান, ৩৫৯ জনের মধ্যে ১৩৫ জন রাজস্ব কর্মচারী এবং বাকি ২২৪ জন দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী। বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তবু তাঁদের অনেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, নতুন করে লোক নেওয়া হবে বলে তাঁদের বাদ দেওয়ার জন্য বেতন বন্ধ করা হয়েছে।

ঝালকাঠির রাজাপুরে ইসলামিক মিশন হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স আসমা আক্তার। তিনি গত চার বছর ধরে এই পদে কাজ করছেন। আসমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই করোনার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু, গত ১১ মাস ধরে আমাকে এক টাকাও বেতন দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলে, তাঁরা বলেন ঢাকার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে। ঢাকার কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, তাঁরা শুধু আশ্বাস দেন।’

চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম সাদেক আরমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। তিনি ২০১২ সাল থেকে দৈনিক ভিত্তিতে এই পদে কাজ করছেন। গত ১১ মাস ধরে তাঁরও বেতন হয় না। সাদেক আরমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি নতুন করে নিয়োগ হবে। সে কারণেই আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। করোনার এই সময়ে বেতন না পেয়ে আমরা অনেক আর্থিক কষ্টে আছি।’ তিনি বলেন, বারবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মূল কার্যালয়ে জানানোর পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে তাঁদের নিয়োগ পদ্ধতিতে জটিলতা আছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বেতন বন্ধ হওয়া এই ৩৫৯ জনের ১৩৫ জন দৈনিকভিত্তিক থেকে রাজস্বে যান। বাকিরা দৈনিক ভিত্তিতে বেতন পেতেন। গত বছর এক নিরীক্ষায় এসেছে, এঁরা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিয়োগ পান। অডিটে তাদের নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। তাঁদের কাউকে দিয়ে দাপ্তরিক কাজ করানো হচ্ছে না। অনেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে করছেন।