মগবাজারে বিস্ফোরণ মামলার তদন্তভার পেল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন
ফাইল ছবি

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলার তদন্তভার পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে হস্তান্তর হয়েছে। আজ শনিবার রমনা থানা-পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার সিটিটিসি বুঝে নিয়েছে। মামলা দায়েরের চার দিন পরও তদন্তে কোনো অগ্রগতি ছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হলো।


সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার এ কে এম রহমতউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার বুঝে নিয়েছে সিটিটিসি।’

গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় আহত ৫ জন এখনো হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।

গত ২৯ জুন বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে রমনা থানা-পুলিশ। তবে মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ মতামত না পাওয়ায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি ছিল না।’


মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভবন মালিকের সার্বিক অব্যবস্থাপনা, অতি পুরোনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে বিষয়গুলো মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবনের ভাড়াটে শর্মা হাউস, বেঙ্গল মিট, সিঙ্গার বা গ্র্যান্ড কনফেকশনারির অননুমোদিত গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবহেলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ অথবা ঘটনাস্থলের সামনে সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খনন করে সংস্কারকাজও বিস্ফোরণের জন্য দায়ী হতে পারে।