মাখোঁর কুশপুত্তলিকা পোড়াল ইসলামী ঐক্যজোট

মাখোঁর ‘কট্টর’ অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকায় তাঁর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট
ছবি: প্রথম আলো

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফ্রান্সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন এবং এর সমর্থনে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ‘কট্টর’ অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকায় তাঁর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের পর দলটির নেতা-কর্মীরা রাজধানীর পল্টন মোড়ে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন।

এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। সমাবেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো অপকর্ম হলে তার প্রতিবাদ রাষ্ট্রীয়ভাবেই হওয়া উচিত। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশ থেকে এখনো কেন সরকারিভাবে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি, তা বোধগম্য নয়। তিনি জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর বক্তব্যের প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুর রহমান, শেখ লোকমান হোসাইন, আলতাফ হোসাইন, জিয়াউল হক মজুমদার প্রমুখ।

এদিকে দুপুরে মোহাম্মদপুর টাউন হল চৌরাস্তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরভিত্তিক কয়েকটি কওমি মাদ্রাসা ‘ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া, মোহাম্মদপুর’ ব্যানারে পৃথক মিছিল ও সমাবেশ করে। টাউন হল এলাকা থেকে মিছিলটি মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চেয়ে মুসলমানদের মনের আগুন নেভানোর আহ্বান জানান।

তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্রান্সের পণ্য বর্জন এবং সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করার দাবি জানান।

বায়তুল জান্নাত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ওমর ফারুকের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল আবুল কালাম, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুহাদ্দিস মামুনুল হক, জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার প্রিন্সিপাল ফারুক আহমাদ, জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল ফালাহর প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ তালহা, জামিয়া ওয়াহিদিয়ার প্রিন্সিপাল যোবায়ের আহমদ, বায়তুল আমান আদাবরের প্রিন্সিপাল মাহমুদুর রহমান, আদাবর আহসানুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম আমির হোসেন, ফাতেমাতুজ জোহরা মাদ্রাসার মুহতামিম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।