মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে আজও বিক্ষোভ

লকডাউনে নিউমার্কেট খোলা রাখার প্রতিবাদে রাস্তায় ব্যবসায়ীরা। ৫ এপ্রিল
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

লকডাউনে মার্কেট ও শপিং মল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচকসহ আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা।

সাত দিনব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিন আজ সোমবার নিউমার্কেটে শতাধিক দোকানমালিক, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মিলে বিক্ষোভ করেন বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবুল হাসান।

আবুল হাসান বলেন, সকাল নয়টার দিকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তবে ব্যবসায়ীরা রাস্তা বন্ধ করেননি। যান চলাচল করছে।

বিক্ষোভ এখন কিছুটা স্তিমিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকান মালিক সমিতির নেতাদের আমরা বুঝিয়েছি যে তাঁদের স্বার্থেই সরকার এই লকডাউন দিয়েছে। তাঁরা বুঝেছে। এখন লোক কমে গেছে।’

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, গত বছরের লকডাউনে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন মালামাল উঠিয়েছেন। লকডাউন থাকলে তাঁদের ব্যবসায় ধস নামবে।

এলিফ্যান্ট রোডে গাউছিয়া দোকানের মালিক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ছবি: আবিদুল ইসলাম

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবই চলছে। সবাই রাস্তায়। ঢিলেঢালা লকডাউন দিয়ে লাভটা কী? এ অবস্থায় আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা হচ্ছে। কারও ঈদের অনেক আগে থেকে কাজ শুরু, কারও–বা ১০ দিন আগে থেকে। এখন পাইকারি ব্যবসার মুভমেন্ট থাকার কথা ছিল। সব কলাপ্স (ধস নেমেছে) করেছে।’

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন দিলে শতভাগ কার্যকর হোক। এখন আমাদের ওপর শুধু নিষেধাজ্ঞা কেন? আমরা তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’

সকালে গাউছিয়া দোকান মালিক ও কর্মচারী সমিতির লোকেরাও ওই এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা সেখানে স্লোগান দেন, ‘লকডাউন মানি না, মানব না’, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানব, দোকানপাট খুলব’।

ঈদ উপলক্ষে নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা, গাউছিয়া, চাঁদনীচক, এলিফ্যান্ট রোডে বড় কয়েকটি ব্র্যান্ডের দোকান, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স দেশের সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে। ব্যবসায়ীরা সারা বছর ঈদুল ফিতরকে উপলক্ষ করে মুখিয়ে থাকেন।

রোজার আগে মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে গতকাল রবিবার বসুন্ধরা ও নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ ছিল। এ জন্য আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটও হয়েছিল বেশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মানার পক্ষে, তবে মার্কেট বন্ধের বিপক্ষে।