মিরপুরের ইব্রাহিমপুর খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

ইব্রাহিমপুরের পুলপাড় এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়
ছবি: আশরাফুল আলম

রাজধানীর মিরপুর এলাকার ইব্রাহিমপুর খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। বেলা একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।

অভিযানের শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া আছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক।

শুরুতে ইব্রাহিমপুরের পুলপাড় এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। পুলপাড় এলাকায় খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি তিনতলা ভবন ভাঙার মধ্য দিয়ে অভিযান শুরু হয়।

একই সঙ্গে খালের বিপরীত পাড়েও অভিযান চালানো হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মানচিত্র অনুযায়ী খালের জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, তা একতলা হোক বা ১০ তলা হোক, ভেঙে ফেলা হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খালেও এই অভিযান চালানো হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, খাল পরিষ্কার বা দখলমুক্ত না করে ড্রেন নির্মাণ করে কোনো লাভ নেই।

কয়েক বছর ধরে ঢাকায় একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি, সামনে বর্ষা মৌসুমে ঢাকাবাসী জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।’

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ফলে, এখন থেকে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পুরো দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের। আগে এই দায়িত্বের সিংহভাগ পালন করত ঢাকা ওয়াসা।

অভিযানের শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম
ছবি: আশরাফুল আলম

ওই অনুষ্ঠানে সিটি জরিপ অনুসারে অনতিবিলম্বে ঢাকা শহরের খালের সীমানা চিহ্নিত করার প্রতি জোর দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া খালের দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন করে পানি ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি, পাড় বাঁধাই করে সবুজায়ন, ওয়াকওয়ে (হাঁটার পথ) ও সাইকেল লেন তৈরির পক্ষে মত দেন তিনি।

জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে ঢাকা ওয়াসা শহরের ২৬টি খাল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) এবং প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার বড় আকারের নালা ও চারটি পাম্প স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে আসছিলে। দুই সিটি করপোরেশন দেখভাল করে আসছিলে প্রায় ২ হাজার ২১১ কিলোমিটার নালা। ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল এখন দুই সিটি করপোরেশনের হাতে গেল।