মুক্ত আসর ১১ পেরিয়ে এক যুগে

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন মুক্ত আসরের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় ‘প্রীতিসভা’র। এই প্রীতিসভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্ত আসরের উপদেষ্টা, পরামর্শক, কমিটির সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

ভাষাসংগ্রামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে এই প্রীতিসভা শুরু হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে পরিবেশন করা হয় গান ও কবিতা। গান পরিবেশন করেন মুক্ত আসরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী শায়লা রহমান। কবিতা আবৃত্তি করেন সাহিত্য সম্পাদক কবি সাহিনা মিতা।

মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এস এ মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবেদা সুলতানা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস, গবেষক হোসাইন মোহাম্মদ জাকি, লাইটশোর ফাউন্ডেশনের রাজিয়া সুলতানা, মুক্ত আসরের পরামর্শক আনিস রহমান, সহসভাপতি আশফাকুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েশা জাহান নূপুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের সোহেল, প্রচার সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক সরকার, যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা, বইচারিতার খায়রুল বাশার, লেখক শিল্পী ঘোষ, সোনিয়া তাসলিম খান ও রাহিতুল ইসলাম।

অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, মুক্ত আসর একটি ভিন্নধারার সংগঠন। ধীরে ধীরে সংগঠনটি আজ ১২ বছরে পা দিয়েছে। আগামী দিনগুলো আরও বেশি বেশি কাজ করে দেশের জন্য অবদান রাখবে।

সাইদুর রহমান বলেন, ভালোবাসার সৌরভ ছড়ানো অনন্য একটি সংগঠন মুক্ত আসর। সৃজনশীলদের প্ল্যাটফর্ম, সাহিত্য-সংস্কৃতিসেবীদের মিলনকেন্দ্র। বিত্তের অপ্রতুলতা চিত্তের সৌকর্যের কাছে ম্লান মুক্ত আসরে।

আবু সাঈদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা ও তরুণদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বকাহিনিগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুক্ত আসরের যাত্রা শুরু হয়। দেখতে দেখতে আমরা ১১ বছর পার করছি। ১২ বছরে যাত্রায় আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে কাজ করব। ’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নাফিজা রহমান।