ময়নাতদন্ত শেষে কবিরের লাশ নিয়ে গ্রামের পথে স্বজনেরা

আহসান কবির খান
ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারানো আহসান কবির খানের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা করেছেন স্বজনেরা। কবিরের ছোট ভাই এ কে এম আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে কবিরের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ফাহমিদা হক। পরে পরিবারের কাছে তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়। কবিরের লাশ গ্রহণ করেন তাঁর ছোট ভাই আসাদুজ্জামান। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফ্রিজিং ভ্যানে করে কবিরের লাশ নিয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা করেন স্বজনেরা।

কবিরের ছোট ভাই আসাদুজ্জামান প্রথম আলোর চট্টগ্রাম অফিসের ওটিপি অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জানান, গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির পারিবারিক কবরস্থানে কবিরকে দাফন করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টো দিকে ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারান কবির। তিনি দৈনিক সংবাদের কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোর সাবেক কর্মীও।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাব্বির জানান, অন্য সব যানবাহনের সঙ্গে উত্তর সিটির ময়লার গাড়িটি আটকে ছিল। সিগন্যাল ছাড়ামাত্রই গাড়িটি সিগন্যালে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা কবির ছিটকে পড়েন। তিনি বাইকের পেছনে ছিলেন। তাঁর মাথার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়।

এরপর পেছন থেকে লোকজন ধাওয়া দেন গাড়িটিকে। গ্রিনরোড সিগন্যাল পর্যন্ত গিয়ে চালক ও তাঁর সহযোগী গাড়ি রেখে পালিয়ে যান।

আগের দিন বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত হয় নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসান।