যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মো. বাবলু (৩২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজরা তাঁকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বাবলু পেশায় স্টিলের আসবাব তৈরির কারিগর। তাঁর একটি কারখানাও ছিল। বছরখানেক আগে মা–বাবা মারা যাওয়ার পর করোনার কারণে ব্যবসায় ক্ষতি হলে কারখানা ছেড়ে দিয়ে খণ্ডকালীন কাজ করতেন তিনি।

পুলিশ আরও জানায়, গতকাল রাতে বাবলু তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে রিকশায় করে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। রিকশাটি যখন যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক মনা টাওয়ারের সামনে যায়, সেখানে স্থানীয় চাঁদাবাজ–সন্ত্রাসীরা তাঁদের রিকশা থামায়। তারা বাবলুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাঁর সহকর্মী চাঁদাবাজদের একজনকে জাপটে ধরে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাকিরা পালিয়ে যায়।

আটক একজনকে পুলিশে দেওয়া হয়। আহত বাবলুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে আবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

বাবলুর ভগ্নিপতি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বাবলু দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। বাবলুর যখন কারখানা ছিল, তখন সন্ত্রাসীরা প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চাঁদা নিত। ইদানীং আর চাঁদা দিতে পারছিলেন না বাবলু।

পুলিশ আরও জানায়, ছুরিকাঘাতের পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাবলুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। বাসায় যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আবার রাত আড়াইটার দিকে নিয়ে এলে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।