রমনায় মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে হিঁচড়ে নিয়ে যায় তৃষ্ণাকে

রমনা পার্ক
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বৈকালিক হাঁটাহাঁটি শেষে রমনা পার্কের সামনের রাস্তা পার হচ্ছিলেন তৃষ্ণা রানী সাহা (৫০)। কিন্তু বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান এবং তাঁর পরনের শাড়ি মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এ অবস্থায় তৃষ্ণাকে ১০-১৫ হাত দূরে হিঁচড়ে নিয়ে যান মোটরসাইকেলের চালক। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে সন্ধ্যা পৌন ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্কুলশিক্ষার্থী প্রাচ্য প্রিয়দীপ প্রথম আলোকে বলেন, সে ও তাঁর বন্ধু রমনা পার্ক থেকে খেলাধুলা শেষে মিন্টো রোডের (মন্ত্রী পাড়া) দিকের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন তাদের পেছনে আরও দুই নারী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। একপর্যায়ে বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল ওই দুজনের একজনকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলের চাকায় তাঁর পরনের কাপড় আটকে যায়। ওই অবস্থায় মোটরসাইকেলের চালক তাঁকে ১০–১২ হাত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন মোটরসাইকেলসহ চালককে আটক করে রমনা থানায় সোপর্দ করেন।

তৃষ্ণার বান্ধবী কল্পনা রানী বলেন, তাঁরা প্রতিদিনই বিকেলে রমনা পার্কে হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটাহাঁটি শেষে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে দুজনেই রাস্তা পার হচ্ছিলেন।

কল্পনা জানান, তাঁর পেছনেই ছিলেন তৃষ্ণা। হঠাৎ শব্দ শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখেন তৃষ্ণাকে মোটরসাইকেল টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে তৃষ্ণাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তৃষ্ণার বাসা বিজয়নগরে। তাঁর স্বামী উত্তম সাহা। তাঁদের দুই মেয়ে আছে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, তৃষ্ণাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আটক মোটরসাইকেলের চালক মাসুদ আহমেদ একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করছেন।