রাজধানীতে এক কিশোরী ও তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঝুলন্ত লাশ।
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে মঙ্গলবার রাতে পৃথক স্থানে এক কিশোরী ও এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিশোরীর নাম চাঁদনি আক্তার (১৩) ও তরুণের নাম মো. রবিন (২০)। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান, মোবাইলে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদনিকে বকা দেয় তার বাবা-মা। এতে সে অভিমান করে রাত আটটার দিকে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়।

উদ্ধারের পর চাঁদনিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর রাত ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চাঁদনির এক আত্মীয় মো. শরীফ জানান, লেখাপড়ায় মনোযোগী না হয়ে মোবাইল গেমসে আসক্ত হয়ে পড়ে চাঁদনি। এতে তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় বাবা-মা। এই অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা একজন মাছ ব্যবসায়ী।

এদিকে পারিবারিক কলহের জেরে রবিন নামের ওই তরুণ লালবাগের আমলিগোলার ভাড়া বাসায় ফাঁস দেন বলে পরিবারের দাবি। অচেতন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিনের বড় ভাই রুবেল প্রথম আলোকে বলেন, রবিন দর্জির দোকানে কাজ করতেন। বড় বোনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে তিনি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে।