রাতে ছাড়েনি, সকালে আসা দুটি লঞ্চে শ্রমিক কম

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লঞ্চ টার্মিনালে এসে পৌঁছায়।
ছবি: দীপু মালাকার

শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনায় সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রাতে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। লঞ্চমালিকেরা জানিয়েছেন, হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে কোনো যাত্রী না থাকায় তাঁরা লঞ্চ ছাড়তে পারেননি। আজ রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে সদরঘাট টার্মিনালে দুটি লঞ্চ এসেছে। এই দুই লঞ্চে যাত্রীদের মধ্যে পোশাক বা শিল্পকারখানার শ্রমিক নেই বললেই চলে।

সকাল ১০টা পর্যন্ত বরিশাল থেকে লঞ্চ ছাড়বে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মালিকেরা। তবে ভোলা, ইলিশা, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, ঘোষেরহাট, মুলাদী ও চাঁদপুর থেকে কিছু লঞ্চ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লঞ্চ টার্মিনালে এসে পৌঁছায়।
দীপু মালাকার

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, লঞ্চ ছাড়ার সরকারি প্রজ্ঞাপনটি বিভ্রান্তিমূলক হয়েছে। যাঁরা এ প্রজ্ঞাপন দিয়েছেন, তাঁদের লঞ্চ চলাচল নিয়ে ধারণা থাকলে এ বিভ্রান্তি হতো না। হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে কোনো যাত্রী ছিল না। সকালে ছেড়ে এলে দুপুর ১২টার মধ্যে কোনো লঞ্চের পক্ষে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

সকালে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে সদরঘাট টার্মিনালে কয়েকটি লঞ্চ রাখা হলেও যাত্রীস্বল্পতার কারণে পরে সেগুলো প্রত্যাহার করে নেন মালিকেরা।

তবে সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ভোলার উদ্দেশে কর্ণফুলী-৯ এবং চাঁদপুরের উদ্দেশে ইমাম হাসান-৭, সোনার তরী-২ ও বোগদাদিয়া লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চাঁদপুর থেকে প্রথম আসা লঞ্চের নাম রফরফ-৭। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার শ্রমিকদের জন্য লঞ্চ চলাচলের কথা বলা হলেও শ্রমিকদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। যাত্রীদের বেশির ভাগই অন্য পেশার। তাঁরা ঈদের সময় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন।

সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে আসে এমভি ঈগল-৭ ও সোনার তরী-৩। এই লঞ্চ দুটির নিচতলা যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। ঢাকা থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, যতজনের কথা বলা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কাউকে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। লঞ্চটির নিচতলা যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হলেও যাত্রীদের মধ্যে কোনো ধরনের সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়নি।

লঞ্চের ম্যানেজার ফারুকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১ হাজার ২০০ যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। চার শতাধিক যাত্রী এসেছে। আমাদের খরচ উঠবে না। খালি যেতে হবে।’