শপিং ব্যাগের কারখানায় ব্যস্ত কারিগরেরা

সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বিপণিবিতানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। এ কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শপিং ব্যাগের কারিগরেরা। গত রোববার নিউমার্কেটে।  প্রথম আলো
সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বিপণিবিতানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। এ কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শপিং ব্যাগের কারিগরেরা। গত রোববার নিউমার্কেটে। প্রথম আলো

রং–বেরঙের শপিং ব্যাগ হাতে বেরিয়ে আসছেন মানুষ। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোর সামনে গেলেই দেখা মিলবে এই দৃশ্যের। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বিপণিবিতানমুখী মানুষের ঢল তত বাড়বে। বাড়বে বেচাকেনা। বেচাকেনা যত বাড়বে, তত বাড়বে শপিং ব্যাগের চাহিদা। এই চাহিদা মেটাতে এখন ব্যস্ত শপিং ব্যাগের কারখানার মালিক–কর্মচারীরা।

বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ছোট–বড় সব দোকানে সারা বছরই শপিং ব্যাগের চাহিদা আছে। তবে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় এর চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। রাজধানীর দোকানগুলোর শপিং ব্যাগের চাহিদা মেটায় মূলত নিউমার্কেট, মিরপুর ও পুরান ঢাকার ছোট কারখানাগুলো। গত কয়েক দিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিরামহীন কাজ করে চলেছেন এসব কারখানার মালিক–শ্রমিকেরা।

কারখানার মালিক–শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাগজের ব্যাগের পাশাপাশি কাপড়ের ব্যাগের চাহিদাও প্রচুর। ঈদ উপলক্ষে ব্যাগের নকশায় কিছুটা ভিন্নতা আসে। ঈদ মোবারক, ঈদ উপহার লেখা শপিং ব্যাগ তাঁরা তৈরি করে রাখেন। অনেক দোকানি ফরমাশ দিয়ে নিজের দোকানের নামে ব্যাগ বানিয়ে নেন। দোকানের নামে ব্যাগ বানাতে হলে অন্তত ১০০টি ব্যাগের ফরমাশ দিতে হয়।

নিউমার্কেটের খালেদ সুপার মার্কেটের একটি কারখানার মালিক জানান, আকৃতিভেদে ব্যাগের দাম ভিন্ন। অন্তত ১০০ ব্যাগ ছাড়া তাঁরা অর্ডার নেন না। কাপড়ের ব্যাগের দাম ১৬ টাকা করে। শপিং ব্যাগের পাশাপাশি তাঁরা তৈরি করেন কাপড়ের ক্যারিং ব্যাগ। এসব ব্যাগ বিক্রি করেন ১০০ টাকা করে।

একটি কারখানার কর্মচারী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যাগ তৈরি করি। পয়লা বৈশাখ ও ঈদের সময় কাজের চাপ বেশি থাকে। তখন এক হাজারের বেশি ব্যাগ বানাতে হয়।’

কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের সময় ব্যাগের চাহিদা বেড়ে যায়। তখন দোকানিদের চাহিদা মেটাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হয়। তাই এ সময় অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।

পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার ১ম ও ২য় লেন, চকবাজার, হাজারীবাগ ও ইসলামপুর ঘুরে দেখা যায়, ব্যাগ তৈরির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়।

ইসলামপুরে কথা হয় মিরপুর থেকে আসা জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর সঙ্গে। তাঁর তিনটি কাপড়ের ও ২টি প্রসাধনের দোকান। জাহাঙ্গীর জানালেন, রোজার শুরুতে তিনি ২০ হাজার ব্যাগ কিনেছেন। তা প্রায় শেষের পথে। তাই আবার ব্যাগ কিনতে এসেছেন।