শাহজালাল বিমানবন্দর উন্নয়নে আগ্রহী জাপানের মিতসুবিশি

‘চতুর্থ বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পিপিপি প্ল্যাটফর্ম সভা’  আজ বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপানের প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি করপোরেশন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ) এবং জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের (এমএলআইটি) যৌথ প্ল্যাটফর্মের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে।

আজ বুধবার ‘চতুর্থ বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পিপিপি প্ল্যাটফর্ম সভা’ ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শাহজালাল বিমানবন্দর উন্নয়নসহ মোট ছয়টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় মিতসুবিশি করপোরেশন বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটি উপস্থাপন করে।

সভায় যে প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়, সেগুলো হচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশনের মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব (এমএমটিএইচ) নির্মাণ, ঢাকা শহরের আউটার রিং রোড (দক্ষিণ অংশ) নির্মাণ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নতি করা এবং র‌্যাপিড ট্রানজিট এমআরটি লাইন-২–এর নকশা ও নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং নবীনগর–মানিকগঞ্জ–পাটুরিয়া সড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ প্রকল্প।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় পন্থা হচ্ছে সরকার থেকে সরকারের (জি টু জি) মাধ্যমে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ। পিপিপি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জাপানের এমএলআইটি উপমন্ত্রী নোমুরা মাসাফমি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের এই যৌথ প্ল্যাটফর্ম জাপানের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলোর অংশীদারত্ব জোরদার করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, জাপানের সঙ্গে পিপিপির ফলে বাংলাদেশ কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে, ঝুঁকি কমবে এবং বিনিয়োগ সহজলভ্য হবে।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও এবং বাংলাদেশ সরকারের সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, জাপানের সঙ্গে জি টু জি অংশীদারত্বের মাধ্যমে পিপিপি প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ সরকারের বিশাল আর্থিক বিনিয়োগকে সহজ করবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি বিনিয়োগকারী, এমএলআইটি ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।