শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায় ৮ ডিসেম্বর

খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি

রাজধানীর আদাবরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা হবে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফারুকুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, শিশু সামিউল হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি দুজন। তাঁরা হলেন শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা (২৫) এবং তাঁর কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান বাক্কু (৩৮)। আসামি হুমায়রা আদালত থেকে জামিন নিয়ে নিয়মিত হাজিরা দিতেন। তবে তিনি আজ আদালতে হাজির হননি। আদালত তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন। আর অপর আসামি শামসুজ্জামান হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।

পিপি ফারুকুজ্জামান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তিনি আজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। দুই আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, আসামি হুমায়রা ও শামসুজ্জামানের সম্পর্ক দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন সামিউলকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে আর আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ২৫ অক্টোবর হুমায়রা ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২২ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।