সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশ করে কয়েকটি সংগঠন
ছবি: প্রথম আলো

দেশ থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। গত বুধবার সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এবং বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোটের পৃথক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে গত বুধবার সকালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুশান্ত বর্মণ। বক্তব্য দেন সহসভাপতি উৎপল দাস, সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র, মহিলাবিষয়ক সাধারণ সম্পাদক নমিতা বিশ্বাস, মুখপাত্র সুমন কুমার, হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিকসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় অবদান রেখেছে সংখ্যালঘুরা। যারা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তারা আজ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

সাজন কুমার মিশ্র বলেন, ‘এ দেশ সকলের। আমরা সম্প্রীতি, শান্তি চাই।’
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি দ্বীনবন্ধু রায়। এতে যুববিষয়ক সম্পাদক কিশোর বর্মণ, হিন্দু যুব মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রদীপ শঙ্কর, ছাত্র মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী ধ্রুব বাড়ুরী, দপ্তর সম্পাদক বাপ্পী সমাদ্দারসহ অনেকে। বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোটের পক্ষে ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র শ্যামল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রতন দাসসহ অনেকে।

সংগঠনগুলোর পৃথক মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

আরও পড়ুন