সন্তান না হওয়ায় ‘খোঁটা’, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে নারীর মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নিঃসন্তান ছিলেন নাসরিন আক্তার। বিয়ের ১৯ বছর পরও কেন মা হতে পারছেন না, এই নিয়ে খোঁটা শুনতে হতো প্রায়ই। স্বজনদের ধারণা, সহ্য করতে না পেরে আজ মঙ্গলবার তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি মারা গেছেন।  

নাসরিন আক্তারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল খান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লালবাগে তাঁদের নিজেদের তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল সোয়া চারটার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই সময় তাঁর স্বামী মো. জাফর বাসায় ঘুমিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নীলক্ষেতের একটি পেট্রলপাম্পে চাকরি করেন।

মো. জাফর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘুমাচ্ছিলাম। পরে খবর পাই নাসরিন পড়ে গেছে। ও বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিল। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। শুধু বলত, ও আর বাঁচবে না।’

নাসরিনের আরেক আত্মীয় প্রথম আলোকে বলেন, ১৯ বছর ধরে নাসরিনের সন্তান হচ্ছিল না। অনেকে অনেক কথা বলত। এসব নিয়ে খুব মন খারাপ করতেন নাসরিন।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। নাসরিনের স্বামী ওই সময় বাসায় ছিলেন না। তিনি হাসপাতালে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, পরিবারের লোকজন বলেছেন, তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। সন্তান না হওয়ায় হতাশায় ভুগতেন। তাঁরা নাসরিনের চিকিৎসার সব কাগজপত্র পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেছেন।