সভা–সমাবেশের অনুমতি তো আপনারা দেন না: জাফরুল্লাহ

রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের সমালোচনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অনুমতি নিতে হলে আপনারা তো অনুমতি দেন না। তিনি এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ঢাকায় মহাখালীর সাততলা বস্তি, মোহাম্মদপুরে জহুরী মহল্লায় বস্তি ও মিরপুরের কালশীর বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বস্তিতে আগুন লাগার কারণ সরকারকে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার আহ্বান জানান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে মিছিল ও সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষ চলাফেরা করতে পারবে না, সভা–সমাবেশ করার জন্য অবশ্যই পুলিশকে অবহিত করা হবে। কিন্তু অনুমতি নিতে হলে আপনারা তো অনুমতি দেন না, এটা সবার জানা কথা। কাউকে সংবর্ধনা দিতে দেবেন না, বক্তব্য রাখতে দেবেন না, সমালোচনা করতে দেবেন না, এটা ভালো কাজ নয়। তাই আমি ডিএমপিকে অনুরোধ করছি এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার জন্য।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সভা–সমাবেশের আগে পুলিশকে জানাতে হয়। কিন্তু যতগুলো বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তার জন্য সরকারই দায়ী। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে ভাস্কর্য-মূর্তির ঝামেলা তৈরি করতে সরকার একদিকে মদদ দিয়েছে, অন্যদিকে যখন দেখছে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, তখন এই অবস্থা।’ এ সময় তিনি সরকারের প্রতি ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানান।

নাগরিক ঐক্যের প্রতিবাদ
এদিকে অনুমতি ছাড়া সভা–সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘ডিএমপির নির্দেশনা সংবিধানবিরোধী এবং সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। ডিএমপির মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক সরকারের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, গণতন্ত্রকে হত্যার আরেকটি কৌশল।’ তিনি ডিএমপির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।