সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে এক মামলার আবেদন খারিজ, অন্যটি প্রত্যাহার

সাঈদ খোকন
ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা নেওয়ার একটি আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

কাজী আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তির করা এই আবেদন আজ মঙ্গলবার খারিজ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

আদেশের দিনে আজ আদালতে হাজির ছিলেন না কাজী আনিসুর রহমান। একই সঙ্গে মামলা আমলে নেওয়ার মতো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করেন আদালত।

এ ছাড়া সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অপর মানহানির মামলা নেওয়ার আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারোয়ার আলম নিজেই তাঁর আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করেন। একই আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।

আইনজীবী সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। পরে তিনি আদালতে তাঁর আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মানহানির মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন সারোয়ার আলম ও কাজী আনিসুর রহমান।

মামলার ব্যাপারে সেদিন সারোয়ার আলম বলেছিলেন, ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে ৯ জানুয়ারি সাঈদ খোকন মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। যে কারণে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে কোনো আদেশ দেননি।

৯ জানুয়ারি এক মানববন্ধনে সাঈদ খোকন অভিযোগ করেন, শেখ ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন।

সাঈদ খোকনের এই বক্তব্যকে ১১ জানুয়ারি তাপস মানহানিকর বলে উল্লেখ করেন। তারপরই সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুই ব্যক্তি আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন।

১২ জানুয়ারি মেয়র তাপস সাংবাদিকদের বলেন, সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা নেওয়ার আবেদন অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি করেছেন। এই আবেদনের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই আবেদনগুলো করা হয়েছে।

মামলার আবেদন প্রত্যাহার করতে আবেদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি ফজলে নূর তাপস ও সাঈদ খোকন বাদানুবাদে জড়ান। তাঁদের এই বাদানুবাদ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি সাঈদ খোকন। পরে তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়।