সার্জেন্ট বাবুল নিহত: চালককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

নিহত সার্জেন্ট বাবুল শেখ
সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সার্জেন্ট বাবুল শেখের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চালক ও চালকের সহকারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।
বাবুল শেখ লালবাগ ট্রাফিক বিভাগের টিএসআই পদে চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন কাভার্ড ভ্যানচালক দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন (২১)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে দুই আসামিকে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানান, কাভার্ড ভ্যানচালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে বাবুল শেখকে ধাক্কা দেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

মামলার কাগজপত্র এবং নিহত বাবুল শেখের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল শেখ গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাত্রাবাড়ীতে বাসায় যাচ্ছিলেন। যখন তিনি যাত্রাবাড়ীর উত্তরা ব্যাংক–সংলগ্ন কলাপট্টির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে কাভার্ড ভ্যানটি তাঁকে ধাক্কা দেয়। পরে গুরুতর জখম বাবুল শেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাবুল শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর মেয়ে মাফরুজা আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। বাবা হারানো মাফরুজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা ১৬ বছর ধরে ঢাকায় ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। আমার বাবাও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আমি বিচার চাই। যে চালক আমার বাবাকে মেরে ফেলল, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বাবুল শেখের গ্রামের বাড়ি পাবনায়। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।