সীমিত আকারে দোকান খুলে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের

কাল থেকে শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। তাই আজ চাঁদনি চক এলাকায় ছিল ক্রেতা–বিক্রেতাদের ভিড়।
ছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা চান, ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ রাখা হোক। নয়তো একেবারেই বন্ধ রাখা হলে দোকান ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানান দোকানমালিকেরা। সম্মিলিত দোকান ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মিলিত দোকান ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি তৌফিক এহসান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভেবেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এবারের লকডাউনেও তিনি ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে সীমিত সময়ের জন্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দেবেন।’

সম্মিলিত দোকান ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে এই লকডাউনে সবচেয়ে কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়ে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং সাধারণ দোকান ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, রমজান মাস ও ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন। এই অবস্থায় সব বন্ধ করা হলে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে যাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান, বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিসুল মান্নান, কম্পিউটার সিটি সেন্টারের (মাল্টিপ্ল্যান) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার প্রমুখ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকবে।