সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশায় জবিতে ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভার্চ্যুয়ালি বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করে
ছবি: সংগৃহীত

সংক্রমণমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশায় নতুন বাংলা সন ১৪২৮-কে ভার্চ্যুয়ালি বরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ বুধবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভার্চ্যুয়ালি বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করে। সেই আয়োজনে এমন প্রত্যাশার কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের মতো এবারও ভার্চ্যুয়ালি বর্ষবরণের উদ্যোগ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পর্বগুলো পরিবেশন করেন।

আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কামালউদ্দীন আহমদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন পুরান ঢাকার সংস্কৃতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণের আয়োজন করে থাকে, যা পুরান ঢাকার ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহ্যকেন্দ্রিক। এমন আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, দ্রুত বর্তমানের সংকটময় অন্ধকার কেটে যাবে। আমরা আলোর পথে ধাবিত হব। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাব। আর এ ক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

সংগীত বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূরে আলম ও সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগম শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে।