সেই লোহার পুল এখন পাকা সড়ক

.
.

স্বচ্ছ পানির বেশ বড়সড় একটা খালের ওপর লোহার ঝুলন্ত সেতু। ইতিহাস বই কিংবা ইন্টারনেটে যাঁরা ঢাকার পুরোনো ছবি দেখেন, তাঁদের যে কাউকেই মুগ্ধ করবে লোহার পুল নামে পরিচিত এই ছবিটি। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে এই পুলের ১৮৭৫ সালের একটি ছবি থাকলেও আলোকচিত্রীর নাম নেই। ১৯০৪ সালে একই রকম একটি ছবি তুলেছেন ফ্রিৎজ কাপ। মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকা: স্মৃতিবিস্মৃতিরনগরী’ এবং ইন্টারনেটের তথ্য ঘেঁটে

.
.

জানা গেল, উনিশ শতকে ঢাকার জনপ্রিয় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটার্স। ঢাকার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি। ধোলাইখালের ওপর তিনিই এই সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কারণ মোগল আমলে এখানে একটি পুল থাকলেও পরে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে তখনকার উঠতি বন্দর নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের জন্য পুলটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। ১৮২৮ সালে শুরু হলো পুল নির্মাণের কাজ। জিনিসপত্র আনা হয় ইংল্যান্ড থেকে। দুই বছর লাগে পুল তৈরিতে। পুলটি মজবুত কি না, দেখার জন্য উদ্বোধনের দিন একটি হাতি তুলে দেওয়া হয়। কেউ যদি ইতিহাস পড়ে পাশে কে বি রোডে জহির রায়হান নাট্যকেন্দ্রের কাছে লোহার এই পুলটি দেখতে যান, তিনি ভুল করবেন। কারণ দখল হয়ে যাওয়া খালটি কিছুটা থাকলেও ওই পুলের জায়গায় এখন রাস্তা আর খালের ওপর বক্স কালভার্ট বানানো হয়েছে। এখন সেখান দিয়ে শহরের সব ময়লা যাচ্ছে খালে।

লেখা: শরিফুল হাসান, ছবি: মনিরুল ইসলাম, পুরান ছবিটি সংগ্রহ করা