সেই শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমে যাবজ্জীবন

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়ার সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাসেল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ছিলেন।  

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামির করা আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় রাসেলের বয়স ছিল ২০ বছর। আবেগতাড়িত হয়ে ওই ঘটনা ঘটান তিনি। পাঁচ বছর ধরে তিনি কনডেমড সেলে আছেন এবং অতীতে তাঁর অপরাধে জড়িত থাকার কোনো নজির নেই। এসব দিক বিবেচনায় হাইকোর্ট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তখনকার শিক্ষার্থী রাসেল মিয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাওদাকে (১৯) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন রাসেল। ঢাকায় নিয়ে আসা হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই দিন বিকেলে সাওদাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় সাওদার মা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়াসহ দুই-তিনজন অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাওদা ও রাসেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পারিবারিক কারণে সাওদা সে সম্পর্ক ছিন্ন করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ওই মামলায় ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার রায় দেন। রায়ে রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাসেল হাইকোর্টে আপিল করেন।