সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা বন্ধ চেয়ে নোটিশ

কয়েকটি সংগঠনের অভিযোগ, এবার অন্তত ১৫০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা বন্ধ করে রেস্তোরাঁ বা দোকান স্থাপনের কার্যক্রম বাতিল চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামিম আখতার এবং প্রধান স্থপতি মীর মনজুর রহমান বরাবরে আজ বৃহস্পতিবার ই-মেইলের মাধ্যমে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে নোটিশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ করে রেস্তোরাঁ/দোকান স্থাপনের কার্যক্রম বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশের তথ্য অনুসারে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৬ জুলাই হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান এবং ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের স্থান সংরক্ষণ করার নির্দেশনা রয়েছে। রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিদ্যমান সব ধরনের স্থাপনা অপসারণ করে চিহ্নিত স্থানগুলোতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও বিবেচনাপ্রসূত দৃষ্টিনন্দন ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

অন্য সব স্থাপনা অবিলম্বে অপসারণ করতেও বলা হয়। গাছ কেটে উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেস্তোরাঁ বা দোকান নির্মাণ শুধু আদালতের রায়ই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। এসব কারণে গাছ কাটা বন্ধে আদালত নোটিশ পাঠানো হয়েছে।