স্ত্রীর টাকায় মাদক-জুয়া, হিসাব চাওয়ায় হত্যা: সিআইডি

গতকাল শনিবার শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী পারুল আক্তারের (৩৫) কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নেন স্বামী শান্ত মল্লিক (২৮)। তবে বিদেশে না গিয়ে এই টাকা ও স্বর্ণ নষ্ট করেন মাদকসেবন আর জুয়া খেলে। টাকার হিসাব চাইতেই স্ত্রীর সঙ্গে শুরু করেন ঝগড়া। একপর্যায়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে পারুলকে হত্যা করেন শান্ত।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার একটি টিনের ঘর থেকে পারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পারুল হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয় জানাতে আজ রোববার ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল শনিবার শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকা থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

পারুলের বাবা আলী আহম্মদ বাদী হয়ে শান্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটির ছায়া তদন্ত করছিল সিআইডি। তদন্তের একপর্যায়ে গতকাল শনিবার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন বলেন, বিদেশে যাওয়ার কথা বলে নেওয়া টাকার হিসাব চাইতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন শান্ত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, শান্তর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তিনি কারাগারেও ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি আরও বলেছে, পারুল সাত বছর জর্ডানে ছিলেন। সেখানে তিনি পোশাককারখানায় চাকরি করতেন। জর্ডানে পারুলের সঙ্গে শান্তর বোন তামান্নাও একই চাকরি করতেন। তামান্নার মাধ্যমে পারুলের সঙ্গে শান্তর পরিচয় হয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। করোনায় চাকরি হারিয়ে ২০২০ সালে পারুল দেশে ফিরে আসেন। সাত মাস আগে শান্তর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।