স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেক ১৪ দিনের রিমান্ডে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক আবদুল মালেক।
সংগৃহীত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেককে দুই মামলায় ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মালেককে আদালতে হাজির করে রাজধানীর তুরাগ থানার অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।


র‍্যাব-১ রোববার আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে তুরাগের বামনারটেক এলাকার একটি সাততলা ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, দেড় লাখ জাল বাংলাদেশি টাকা, একটি ল্যাপটপ ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক। অষ্টম শ্রেণি পাস আবদুল মালেক ১৯৮২ সালে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন।


র‍্যাব সূত্র জানায়, আবদুল মালেকের স্ত্রী দুজন। প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তারের নামে তুরাগ এলাকার দক্ষিণ বামারপাড়া রমজান মার্কেটের উত্তরপাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাত তলার দুটো আবাসিক ভবন আছে। এতে ফ্ল্যাট আছে ২৪টি। ওই ভবনের সামনে আছে ১০-১২ কাঠার আরেকটি প্লট। ভবনের তৃতীয় তলায় তিনি সপরিবারে থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। বড় মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর ইমন ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার আছে। এর বাইরে হাতিরপুলে পৈতৃক সাড়ে চার কাঠা জায়গার ওপর দশতলা ভবন নির্মাণাধীন।


তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক নেতাদের আনুকূল্য পেয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইব্রেরিতে কাজ করেন। আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে নিজেই সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেই তিনি তাঁর পরিবারের সাতজনকে চাকরি দিয়েছেন।
আবদুল মালেকের মেয়ে নাজনীন সুলতানার দাবি, র‍্যাব-পুলিশের অভিযোগ সত্য নয়। তাঁদের সম্পদ বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা আছে।