সড়ক নিরাপত্তা যতটা এগোনোর কথা এগোয়নি: কাদের

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের
ছবি: হাসান রাজা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ সড়কের বিষয়ে গত ১২ বছরে ব্যাপক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে সরকার। তবে বলতে দ্বিধা নেই, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি যত দূর এগোনোর কথা, এগোতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে নিসচার ২৭ বছর সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমরা কতটা আন্তরিক’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজক নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। সড়ক পরিবহন আইনটি আংশিক কার্যকর করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে কিছু সমস্যা আছে, যার কারণে আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ কার্যকরের চেষ্টা চলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক নেটওয়ার্ক যথেষ্ট বিস্তৃত। তবে এই সাফল্য ম্লান হবে, সড়কে নিরাপত্তা যদি না দেওয়া যায়। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। পথচারীরা পথচলার নিয়ম মানতে চায় না। তারা সচেতন হয় না। এ ব্যাপারে সচেতনতা দরকার।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ককে নিরাপদ করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিক, প্রশাসন ও যাত্রীদের অধিকাংশই শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে তারা কতটা আন্তরিক, সেটাই এখন প্রশ্ন। সেখানে সচেতনতা কতটুকু আশা করা যায়। আর পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কম শিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সচেতনতা কতটুকু আশা করা যায়, তা সবারই জানা।

ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২৭ বছর নিসচা যে দাবিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, সব স্তরে তা আছড়ে পড়েছে। ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তার প্রমাণ। কিন্তু সফলতা দেখা যাচ্ছে না।

বৈঠকে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক আইন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কী করা যেতে পারে, সেটি দেখতে হবে।

ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সড়কে ট্রাফিক যেন বেশি না হয়, এ জন্য ডিএমপি কাজ করছে। নতুন আইন সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সড়কে ট্রাফিক কমানোর চেষ্টা চলছে। রাস্তা যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের সচেতনতাও জরুরি।

বৈঠক সঞ্চালনা করেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। আরও বক্তব্য দেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রমুখ।