হাজি সেলিম নিজেই ভাঙলেন নিজের স্থাপনা

পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় মদিনা পানির ট্যাংকের সাইনবোর্ড ঝোলানো অবৈধ দখল করা জায়গাটি ভেঙে ফেলা হয়েছে
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় নদীর জায়গা দখল করে বুড়িগঙ্গার তীরে স্থাপনা তৈরি করেছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি সেলিম। তিনি ওই স্থাপনায় মদিনা পানির ট্যাংকের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এত দিন নদীর জায়গা দখল করে রেখেছিলেন। এবার নিজেই নিজের ওই স্থাপনা ভেঙে দিলেন।

আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টায় সরেজমিনে এমনটাই দেখা গেছে।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ এই এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা। বেলা ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো অভিযান শুরু হয়নি।‌ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএর সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশনের পশ্চিম পাশে থাকা হাজি সেলিমের ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।‌ স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার পর তার ভেতর নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে বসানো সীমানা পিলার দৃশ্যমান হয়েছে।

ওই স্থাপনার সামনে বসা নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁরা নিজেরাই নদীর জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙেছেন। সাংসদের এখন খারাপ সময় যাচ্ছে, তাই তিনি ঝামেলা করতে চাচ্ছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করা হবে বলে জানান এই নিরাপত্তাকর্মী।

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএর সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে থাকা হাজি সেলিমের ভেঙে ফেলা স্থাপনা
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

অস্থায়ীভাবে তৈরি করা এই স্থাপনার চারপাশে মদিনা পানির পাম্পের বিজ্ঞাপন লাগানো হলেও এটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার হতো বলে জানিয়েছেন এখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা।

হাজি সেলিমের অস্থায়ী এই স্থাপনা বাদেও ইসলামবাগসহ আশপাশ এলাকায় অনেক দখলদারকে নিজ উদ্যোগে নদীর জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙে ফেলতে দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের আগেই ভেঙে ফেলা স্থাপনা
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

ঢাকার চারপাশের নদ–নদীর তীরে পুনর্দখল ঠেকাতে বিরতি দিয়ে অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। এরই অংশ হিসেবে গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর বাবুবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিএর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ রোববার এবং কাল সোমবার পুরান ঢাকার চকবাজার ও লালবাগ থানাধীন ইমামগঞ্জ থেকে লোহারপুল পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমির সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।