হাত ধোয়াতে নগরে ঘুরবে ভ্যানগাড়ি

হাত ধোয়ার জন্য ‘হ্যান্ড ওয়াশিং অন হুইলস’ কর্মসূচি চালু করেছে ওয়াটারএইড
ছবি: প্রথম আালো

ঢাকা শহরের রাস্তায় ও জনসমাগমস্থলে সহজে হাত ধোয়ার জন্য ‘হ্যান্ড ওয়াশিং অন হুইলস’ কর্মসূচি চালু করেছে ওয়াটারএইড। কর্মসূচিটির আওতায় হাত ধোয়ার সুব্যবস্থাসহ ১০টি ভ্যানগাড়ি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে। এটি সফল হলে ভ্যানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

আজ শনিবার সকালে কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচিটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। কর্মসূচিতে সহযোগী হিসেবে আছে সুইডিস দূতাবাস ও ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা বিনা মূল্যে হাত ধোয়ার ভ্যানগুলোয় পানি সরবরাহ করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাত ধোয়ার গুরুত্ব আগে থেকেই ছিল, আমরা হাত ধোয়া দিবসও পালন করি। করোনাকালে হাতা ধোয়ার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। নিয়মিত হাত ধুলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমে।’ দেশে প্রথমবারের মতো (গত ৮ মার্চ) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও তৃণমূল পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণ নিয়ে যেসব ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ একটি পর্যায়ে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা ওয়াসার বোর্ড সদস্য মো. ইব্রাহিম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকর দুটি উপায় হলো মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া। ‘হ্যান্ড ওয়াশিং অন হুইলস’ কর্মসূচিতে বিনা মূল্যে পানি সরবরাহ করার জন্য তিনি ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়। কিন্তু লকডাউনের সময়ও ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করেছে ঢাকা ওয়াসা। এ ছাড়া ২৮ মার্চ ওয়াসার পক্ষ থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আজকে সেটি আরও বৃহত্তর পরিসরে শুরু করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের পর ঢাকার বাসস্ট্যান্ড ও বাজারে ওয়াটারএইডের পক্ষ থেকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ সফল করতে হলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। এ জন্য হাত ধোয়ার গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন গাড়িতে (ভ্যান) পানি, বেসিন, সাবান ও নোংরা পানি অপসারণের জন্য এটি পাইপ থাকবে। তিনি বলেন, ‘এই গাড়ি নিয়ে আমরাই মানুষের কাছে যাব, মানুষকে আসতে হবে না। বাজারে বা যেখানে বাস থামে, সেখানে গাড়িগুলো থাকবে। পাশাপাশি গাড়িতে বাজানো গানের মাধ্যমে মানুষকে হাত ধুতে উৎসাহিত করা হবে।’