হাসপাতাল ছাড়লেন ওয়াহিদা খানম

ওয়াহিদা খানম
ফাইল ছবি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওয়াহিদা খানমকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।

গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীকে (৭০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত।

আহত দুজনকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। আরও পরে তাঁর বাবাকেও এখানে আনা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

অধ্যাপক জাহেদ হোসেন আজ বেলা দেড়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াহিদা খানম হাত দিয়ে লিখতে পারেন। হাত নাড়াচাড়া করতে পারেন। তাঁর ডান পায়ে কিছু সমস্যা আছে। এর জন্য ফিজিওথেরাপির দরকার হবে। সে জন্য তিনি মিরপুর ১৪ নম্বরে অবস্থিত সিআরপিতে চিকিৎসা নিতে গেছেন।’

অধ্যাপক জাহেদ হোসেন আরও বলেন, ‘ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত, সুস্থ।’

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে তাঁর স্বামী যাতে কাছাকাছি থাকতে পারেন, সে জন্য তাঁকে ঢাকায় বদলি করা হয়।