৪৮ মরদেহ শনাক্তে ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী বুথটি গুটিয়ে নিয়েছে সিআইডি
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ শেষ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী বুথটি গুটিয়ে নেয় সিআইডি। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের ডিএনএ পরীক্ষক দীপংকর দত্ত জানান, সর্বশেষ ৪৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এরপর নিহত বা নিখোঁজ কারও মা-বাবা অথবা স্বজন এলে সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে যোগাযোগ করতে সিআইডির তরফ থেকে মর্গের সামনে নোটিশে জানানো হয়েছে। নোটিশে দুটি মোবাইল নম্বর (০১৬৭৩০১৬৯৭৩, ০১৭২৮২৫৬৬২৩) দেওয়া হয়েছে।

সিআইডি সদর দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নোয়াখালীর আয়াত হোসেন, রাশেদ ও তারেক জিয়ার মরদেহ শনাক্ত করতে তাঁদের বাবাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

যোগাযোগের জন্য নতুন নোটিশ দেওয়া হয়েছে


ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ সহকারী বাবুল জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার করা মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুই মর্গে এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুডস লিমিটেডের ছয়তলা ওই কারখানা ভবনে আগুন লাগে। সেদিনই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন মারা যান। পরদিন শুক্রবার আগুন নিভলে কারখানা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ওই ঘটনায় ৫২ জন মারা গেছেন ও ২৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন মজুমদার বাদী হয়ে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।