৭ জনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
ফাইল ছবি

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার সাতজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আজ শনিবার এই আদেশ দেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পুলিশকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে শনিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার ইন্ধনদাতা ও পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাতজনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম শহীদ। গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন নারায়ণগঞ্জের তামজিদ হায়দার, কিশোরগঞ্জের নজির আমিন চৌধুরী, নোয়াখালীর এ এস এম তানজিমুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আকিব আহম্মেদ, বরিশালের আরাফাত সাদ, লক্ষ্মীপুরের নাজিফা জান্নাত ও পটুয়াখালীর জয়তী চক্রবর্তী।

মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভের ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে শাহবাগ থানার পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করেছে পুলিশ।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিন্টু মিয়ার দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। মিছিলকারীরা মশাল দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে পুলিশের অন্তত ১৫ জন  সদস্য আহত হন।

৯ মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া মুশতাক আহমেদ বন্দী অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এ ঘটনায় লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যার দিকে জাতীয় জাদুঘর, প্রেসক্লাব এলাকা এবং শাহবাগে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল বের করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।